হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে জলাশয়ে বাঁধ দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। দফায় দফায় কয়েক ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সংঘর্ষ থামাতে অন্তত ২০ রাউন্ড রাবারবুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ১৮ জনকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ খবর পেয়ে কামালখানী গ্রামের লোকজনও মাইকে ঘোষণা দিয়ে তাদের লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। দু’পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাদের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন একে অপরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লে সংঘর্ষ শুরু হয়। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ চলে।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বানিয়াচং সার্কেল) শেখ মো. সেলিম, জনপ্রতিনিধসহ বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যান। দীর্ঘক্ষণ চেষ্টা চালিয়ে তারা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন আহমেদসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। তাদের মধ্যে মজলিশপুর গ্রামের নজির মিয়াকে (২৫) গুরুতর আহত অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
অপর আহতরা হলেন- আবিদুর, লাল মিয়া, মনছুর, অলি হোসেন, জমির, অপু সরকার, নিপু, সাজিদ, নূরুল আমীন, সাজলু, ফজলু, জিলু, নাজমুল, হারুন, জসিম, আনসার মিয়া প্রমুখ।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মো. সেলিম জানান, দুর্গম হাওরে জলাশয়ে দু’দল গ্রামবাসী বাঁধ দেয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা বলেন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধিসহ উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষকে শান্ত করেছে। সব কিছু এখন প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।